গলা-বুক জ্বালাপোড়া করে কেন? সমাধান কী
গলা-বুক জ্বালাপোড়া, সাধারণত যাকে "হার্টবার্ন" বা "অ্যাসিড রিফ্লাক্স" বলা হয়, তখন ঘটে যখন পাকস্থলী থেকে এসিড বা অন্যান্য পদার্থ খাদ্যনালীর উপরের দিকে চলে আসে। এই অবস্থার কিছু সাধারণ কারণ এবং সমাধান নিচে দেওয়া হলো:
কারণসমূহ:
অতিরিক্ত এসিড উৎপাদন: পাকস্থলী থেকে এসিড উত্থান, যা গলা বা বুকে জ্বালাপোড়া অনুভূতি তৈরি করে।
খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত চর্বি, মশলা, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, বা চকলেট গ্রহণ করলে এসিড রিফ্লাক্সের সম্ভাবনা বাড়ে।
অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ: অতিরিক্ত বা ভারী খাবার গ্রহণ পাকস্থলীর চাপ বাড়িয়ে এসিড রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে।
শরীরের অবস্থান: ঘুমানোর আগে ভারী খাবার গ্রহণ, বা শোয়া অবস্থায় খাবার খাওয়া এসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
পেটের চাপে বৃদ্ধি: গর্ভাবস্থা, স্থূলতা, বা অন্যান্য কারণে পেটের চাপে বৃদ্ধি হলে এসিড রিফ্লাক্স হতে পারে।
সমাধানসমূহ:
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন: হালকা খাবার গ্রহণ, চর্বিযুক্ত বা মশলাদার খাবার এড়ানো, এবং ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল কমানো।
ছোট ছোট খাবার: বড় বড় খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ছোট ছোট খাবার গ্রহণ করে খাদ্যনালীর চাপ কমানো।
শরীরের অবস্থান পরিবর্তন: খাওয়ার পরে শোয়া এড়ানো, এবং ঘুমানোর সময় মাথার উঁচু করে রাখা, যা এসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, কারণ অতিরিক্ত ওজন পাকস্থলীর চাপ বাড়াতে পারে।
চিকিৎসা গ্রহণ: যদি গলা-বুক জ্বালাপোড়া বারবার ঘটে বা গুরুতর হয়, তবে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। ওষুধ বা চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হতে পারে, যেমন অ্যান্টাসিড, এইচ২ ব্লকার, বা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটার্স।
স্ট্রেস কমানো: স্ট্রেস পাকস্থলীর চাপ বাড়াতে পারে, তাই রিল্যাক্সেশন টেকনিক্স বা মেডিটেশন করার মাধ্যমে স্ট্রেস কমানো সহায়ক হতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ:
যদি গলা-বুক জ্বালাপোড়া বারবার ঘটে, সাথে অন্যান্য লক্ষণ থাকে (যেমন গিলতে সমস্যা, বমি, বা ওজন হ্রাস), তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। কারণ এটি অন্যান্য জটিলতার সূচক হতে পারে, যেমন গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাগিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) বা পেপটিক আলসার।
0 মন্তব্যসমূহ